ক্রিকেট খেলার নৈতিকতা Quiz

ক্রিকেট খেলার নৈতিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা খেলোয়াড়দের আচরণ এবং খেলার Integrity বজায় রাখতে নির্দেশক। এই কোড অব কন্ডাক্টের অধীনে পেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য বিভিন্ন অপরাধের শ্রেণীবিভাগ এবং শাস্তির বিধান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা যেমন ম্যাচ স্থির করা, জুয়া খেলা, এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে খারাপ আচরণকে নৈতিকতার পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোড অব কন্ডাক্টের বিভিন্ন স্তর অনুযায়ী শাস্তি আরোপিত হয়, যা খেলোয়াড় এবং দলের কর্মকর্তাদের ওপর খেলাধুলার নিয়ম-মেনে চলার চাপ তৈরি করে। এই কুইজে ক্রিকেটের নৈতিকতা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে বিষয়গুলির বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হবে।
Correct Answers: 0

Start of ক্রিকেট খেলার নৈতিকতা Quiz

1. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

  • পেশাদার খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা।
  • জয়ের জন্য অবৈধ পন্থা সমর্থন করা।
  • ক্রিকেটে আরো জনপ্রিয়তা বাড়ানো।
  • ক্রিকেট খেলার নিয়মাবলী পরিবর্তন করা।

2. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের অধীনে গুরুতর অপরাধের সাধারণ বিভাগ কী কী?

  • ম্যাচ স্থির করা, জুয়া খেলা, খেলোয়াড়কে প্রলোভিত করা
  • মাঠের শৃঙ্খলা ভঙ্গ
  • দলের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি
  • ব্যবহারিক নিশ্চয়তা প্রদান


3. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের অধীনে লেভেল ১ অপরাধের জন্য আরোপিত শাস্তিগুলি কী?

  • ম্যাচ ফি’র ৩০% থেকে ৭০% জরিমানা।
  • ম্যাচ ফি’র ২০% থেকে ৩০% জরিমানা।
  • ম্যাচ ফি’র ১০% থেকে ৪০% জরিমানা।
  • ম্যাচ ফি’র ০% থেকে ৫০% জরিমানা।

4. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ২ অপরাধের শাস্তি কী?

  • ম্যাচ ফি-এর ০% থেকে ৫০% জরিমানা।
  • ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
  • জীবনের জন্য সমস্ত টেস্টে নিষেধাজ্ঞা।
  • ম্যাচ ফি-এর ৫০% থেকে ১০০% জরিমানা এবং/অথবা ১ টেস্ট বা ২টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।

5. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ৩ অপরাধের জন্য আরোপিত শাস্তির উদাহরণ কী?

  • দলের সদস্যদের প্রতি অপমানজনক আচরণ করা
  • আম্পায়ারের সাথে বিতর্ক করা
  • বলের অবস্থান পরিবর্তন করা
  • অফফিল্ড খবর প্রকাশ করা


6. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ৪ অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তির উদাহরণ কী?

  • শুধুমাত্র ভদ্র কথা বলা
  • অন্য খেলোয়াড়দের উপর শারীরিক আক্রমণ করা
  • ম্যাচ হারার পরে দার্জিলিংয়ে যাওয়া
  • খেলায় না যাওয়া

7. ক্রিকেটের আত্মা কীভাবে খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং যোগ্যতা সৃষ্টি করে?

  • প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খেলার মান উন্নয়ন
  • বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি করা
  • খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অর্জন বৃদ্ধির জন্য
  • ক্রীড়ার জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ

8. অধিনায়কদের ক্রিকেটের আত্মা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কী?

  • অধিনায়কদের দায়িত্ব হলো খেলাধুলার নৈতিকতা রক্ষা করা।
  • অধিনায়কদের দায়িত্ব হলো কেবল জয় অর্জন করা।
  • অধিনায়কদের দায়িত্ব হলো শুধুমাত্র নিজেদের পারফরম্যান্সে মনোযোগ দেওয়া।
  • অধিনায়কদের দায়িত্ব হলো প্রতিপক্ষ দলের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা।


9. খেলোয়াড় এবং দলের কর্মকর্তাদের কর্তব্য কী যে তারা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে?

  • খেলোয়াড়রা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।
  • খেলোয়াড়দের উচিত সিদ্ধান্তreject করা।
  • খেলোয়াড়দের কথা বলা উচিত আম্পায়ারের সাথে।
  • খেলোয়াড়দের মাস্টার হিসেবে কাজ করা উচিত।

10. ক্রিকেটে অ-খেলোয়াড়সুলভ আচরণ কাকে বলা হয়?

  • ক্যাপ্টেনের আচরণ
  • ম্যাচ পরিচালনার আচরণ
  • খেলোয়াড়সুলভ আচরণ
  • অ-খেলোয়াড়সুলভ আচরণ

11. স্লেজিং কী?

  • স্লেজিং কে ভুল হিসেবে চিহ্নিত করা
  • রান পাওয়ার জন্য চিৎকার করা
  • বিরক্তজনক মন্তব্য করা
  • হাত বৃদ্ধির মাধ্যমে সংকেত দেওয়া


12. কোড অব কন্ডাক্টের বিধি পালন না করার পরিণতি কী?

  • অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
  • শাস্তি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে
  • টুর্নামেন্ট থেকে বিস্তারের সুযোগ দেওয়া হবে
  • মানহানির মামলা দায়ের করা হবে

13. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ১ অপরাধের উদাহরণ কী?

See also  প্রথম টেস্ট ম্যাচের ইতিহাস Quiz
  • খেলাধুলায় রুপান্তর
  • বিপরীত দলের প্রতি অবজ্ঞা
  • অপ্রয়োজনীয় অধিকারিত আচরণ
  • আমলাতান্ত্রিক বিরোধিতা

14. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ২ অপরাধের উদাহরণ কী?

  • খেলার নিয়ম মেনে চলা
  • আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি গুরুতর আপত্তি জানানো
  • খেলোয়াড়দের মধ্যে অযাচিত শারীরিক যোগাযোগ
  • অতিরিক্ত আবেদন করা


15. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ৩ অপরাধের উদাহরণ কী?

  • বলের অবস্থা পরিবর্তন
  • খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আচরণ
  • ম্যাচ ফল নিয়ন্ত্রণ করা
  • পরিবর্তনীর হুমকি

16. আইসিসি ক্রিকেট কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ৪ অপরাধের উদাহরণ কী?

  • বিনা অনুমতিতে মাঠের নিয়ম লঙ্ঘন
  • স্লেজিং বা খারাপ ভাষা ব্যবহার
  • খেলোয়াড়দের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা
  • আম্পায়ার বা রেফারির উপর আক্রমণের হুমকি

17. ক্রিকেটের আত্মা কীভাবে অন্তর্ভুক্তি এবং বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করে?

  • ক্রিকেটের আত্মা বিজয় অর্জনে মনোযোগী।
  • ক্রিকেটের আত্মা প্রতিভায় সমতা এবং স্বীকৃতির প্রচার করে।
  • ক্রিকেটের আত্মা খেলাধুলার নিয়মকে উপেক্ষা করে।
  • ক্রিকেটের আত্মা শুধুমাত্র পুরানো tradition রক্ষা করে।


18. ক্রিকেটের আত্মা রক্ষা করার জন্য আম্পায়ারদের ভূমিকা কী?

  • আম্পায়াররা কখনো দলের পক্ষ নিয়ে কাজ করতে পারে।
  • আম্পায়ারদের যখন খুশি তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা উচিত।
  • আম্পায়ারদের উচিত সিদ্ধান্তে সম্মান প্রদর্শন করা।
  • আম্পায়ারদের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ করার অধিকার আছে।

19. ক্রিকেটের ঐতিহ্যের প্রতি সন্মানের গুরুত্ব কী?

  • ক্রিকেটের ঐতিহ্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ক্রিকেটের ঐতিহ্য কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা।
  • ক্রিকেটের ঐতিহ্য কেবল ইতিহাসে বন্ধী।
  • ক্রিকেটের ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা জরুরি নয়।

20. ক্রিকেটে খেলাধুলার মনোভাব কীভাবে প্রচার করা হয়?

  • একটি দলের জন্য কৌশল তৈরি করার মাধ্যমে।
  • খেলাধুলার মাধ্যমে পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রচার করা হয়।
  • খেলাধুলা একে অপরকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ঠেকানো।
  • দর্শকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা।


21. আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্ব কী?

  • আম্পায়ার ভুল করে সিদ্ধান্ত দেন।
  • আম্পায়ারকে অপমান করা অপরিহার্য।
  • আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
  • আম্পায়ারকে অযথা বিতর্ক করা।

22. শাস্তিমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী অ-খেলোয়াড়সুলভ আচরণের উদাহরণ কী?

  • সঠিক খেলাধুলার আচরণ
  • অতিরিক্ত আবেদন
  • গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
  • যুক্তিযুক্ত আলোচনা

23. সাইপ্রাস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কীভাবে তার কোড অব কন্ডাক্ট বাস্তবায়ন করে?

  • কোড অব কন্ডাক্টের শর্তাবলী বাতিল করে।
  • খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেয়।
  • কাউকে শাস্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
  • সাইপ্রাস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন খেলাধুলার নীতি অনুসরণ করে।


24. অধিনায়কদের কোড অব কন্ডাক্ট প্রতিপালনে ভূমিকা কী?

  • খেলার নিয়ম পরিবর্তন করা
  • খেলোয়াড়দের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া
  • অধিনায়কগণ এর আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা
  • অন্য দলে যোগদান করতে সাহায্য করা

25. ক্রিকেটে অশালীন ভাষা ব্যবহার করার পরিণতি কী?

  • অবিলম্বে ম্যাচে স্থানান্তর
  • কোনো শাস্তি না হওয়া
  • সতর্কতা বা অভিযুক্ত হওয়া
  • খেলা থেকে নির্বাসিত হওয়া

26. খেলায়Integrity রক্ষা করার গুরুত্ব কী?

  • খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সাফল্যের জন্য প্রতিযোগিতা।
  • খেলাধুলায় ন্যায় এবং শৃঙ্খলার রক্ষা।
  • মাঠের ভেতরে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা।
  • ফেম এবং পুরস্কারের জন্য খেলাধুলা।


27. ক্রিকেটে সুবিচারের প্রচার কিভাবে হয়?

  • অনুরাগীদের ম্যাচে প্রবেশে বাধা দেওয়া
  • ক্রিকেটের নিয়ম-কানুন মেনে চলা
  • প্রতিপক্ষের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা
  • আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক করা

28. বিজয় ও পরাজয়ে দয়া প্রদর্শনের গুরুত্ব কী?

  • বিজয়ে উদযাপন এবং পরাজয়ে দয়া প্রকাশ করা প্রয়োজন।
  • খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানো জরুরি।
  • বিজয় ও পরাজয়ে দুইটির ক্ষেত্রেই সম্মান প্রদর্শন জরুরি।
  • বিজয়ে অহংকার এবং পরাজয়ে হতাশা প্রকাশ করা যেতে পারে।

29. দলগত কাজকে ক্রিকেটে কীভাবে সমর্থন করা হয়?

  • ইতিবাচক মনোভাব ছাড়া
  • দলগত সহযোগিতা ও যোগাযোগের মাধ্যমে
  • শুধুমাত্র ব্যক্তিগত দক্ষতা উন্নত করে
  • একক খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে


30. ক্রিকেটের আত্মা কীভাবে অন্তর্ভুক্তি প্রচার করে?

  • ক্রিকেটের আত্মা আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয়ের উপর ভিত্তি করে বিচার করে।
  • ক্রিকেটের আত্মা সকল খেলোয়াড়ের জন্য সম্মান ও ইনক্লুসিভিটি নিশ্চিত করে।
  • ক্রিকেটের আত্মা একটি প্রতিযোগিতা যেমন দৌড়ের সাথে সম্পর্কিত।
  • ক্রিকেটের আত্মা শুধুমাত্র ব্যক্তি কৃতিত্বের প্রচার করে।

কুইজ সফলভাবে সম্পন্ন হল!

আপনার এই কুইজটি সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন! ‘ক্রিকেট খেলার নৈতিকতা’ সম্পর্কে আপনি যেসব প্রশ্ন উত্তর করেছেন, তা আপনাকে খেলার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর দিকে আরও মনোযোগ দিতে সাহায্য করেছে। আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, খেলাধুলার সঠিক আচরণ এবং নৈতিকতার কতটা গুরুত্ব রয়েছে। এটি কেবল খেলোয়াড়দের জন্য নয়, বরং সমর্থকদের জন্যও প্রশংসনীয়।

See also  ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাস Quiz

এই কুইজের মাধ্যমে আপনি ক্রিকেটের খেলার মধ্যে নৈতিকতার বিভিন্ন দিক এবং এর মূল্য সম্বন্ধে জানার সুযোগ পেয়েছেন। ভদ্রতা, খেলাধূলার মনোভাব এবং স্পোর্টসম্যানশিপের নীতিগুলি খেলার সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। আপনারা যারা এই কুইজে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা নিশ্চয়ই কিছু নতুন ধারণা এবং লক্ষ্যবস্তু শিখেছেন।

আপনাদের আগ্রহ ধরে রাখতে, আমাদের এই পাতায় ‘ক্রিকেট খেলার নৈতিকতা’ বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য রয়েছে। সেখানে বিস্তারিতভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ওপর আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা আমাদের পরবর্তী অংশটি দেখুন এবং শিক্ষণীয় বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে বুঝুন। জানাশোনার এই চর্চায় আপনাকে সুস্বাগতম!


ক্রিকেট খেলার নৈতিকতা

ক্রিকেটের নৈতিকতা: একটি সাধারণ ধারণা

ক্রিকেটের নৈতিকতা খেলাধুলার এই বিশেষ শাখায় গুণাবলী এবং আচরণ নির্দেশ করে যা খেলোয়াড়দের কাছে প্রত্যাশিত। এটি সততা, সম্মান, এবং সহযোগিতার মতো মূল নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। খেলোয়াড়রা কেবল ফলাফলের জন্য নয়, বরং খেলার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে বাধ্য। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নৈতিক আচরণ খেলাটির সম্মান এবং সঠিক প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত করে।

ক্রিকেটে স্পোর্টসম্যানশিপের গুরুত্ব

স্পোর্টসম্যানশিপ এমন একটি নৈতিক দায়িত্ব যা খেলোয়াড়দের মধ্যে সুন্দর আচরণ ও মানসিকতার উন্নতি করে। এটি প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান এবং নিজেদের সীমানা বোঝার নির্দেশিকা দেয়। ক্রিকেটে, সঠিকভাবে বিজয় এবং পরাজয় গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খেলার হৃদয়ে সৎ প্রতিযোগিতার একটি অংশ।

ক্রিকেট খেলোয়াড়দের আচরণ বিধিমালা

ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের জন্য আচরণ বিধিমালা স্থির করা হয়। এই বিধিমালাগুলি কৃষ্ণপাতি, ধুমপান, এবং অসংলগ্ন আচরণ এড়ান। খেলোয়াড়দের আচরণের এই দিকনির্দেশনা গেমের সুষ্ঠুতা বজায় রাখে। অধিকাংশ ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব আচরণ কোড থাকে যা মাঠে এবং মাঠের বাইরেও খেলোয়াড়দের নৈতিকতা নিশ্চিত করে।

ক্রিকেটে ধারাবাহিক নৈতিকতার চ্যালেঞ্জ

ক্রিকেটে যুক্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, যেমন ম্যাচ ফিক্সিং ও ডোপিং নৈতিকতার বন্ধনে চিড় ধরায়। এই ঘটনা গুলো খেলাটির মৌলিক নীতির প্রতি অবমাননা করে এবং দর্শকদের বিশ্বাস ভঙ্গ করে। খেলোয়াড়রা এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে সচ্চ বলার ও মানসিকতার বিষয়ে পুনরায় ব্যাখ্যা করা উচিত। নৈতিক আচরণ বজায় রাখা তাদের দায়িত্ব।

ক্রিকেটের মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষা

ক্রিকেট কেবল একটি খেলা নয়, এটি শিক্ষার একটি মাধ্যমও। যুবকদের মধ্যে নৈতিকতা ও সহযোগিতার মূল্যবোধ গড়ে তুলতে ক্রিকেট খুবই কার্যকর। স্কুল এবং কলেজে ক্রিকেট খেলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্য, নেতৃত্ব এবং দায়িত্ববোধ বাড়ায়। কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই শিক্ষা দিতে ক্রীড়া সংগঠনগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক্রিকেট খেলার নৈতিকতা কি?

ক্রিকেট খেলার নৈতিকতা হলো খেলার সময় ন্যায়, সততা ও নৈতিক মান সঙ্গতিপূর্ণ আচরণের নীতি। এর মধ্যে রয়েছে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, খেলাধুলার روحের প্রতি সম্মান, এবং প্রতিপক্ষের প্রতি সততা। খেলোয়াড়দের জন্য নিয়মগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা এবং ম্যাচের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা নৈতিকতার অংশ। এরূপ আচরণ না হলে খেলাধুলার প্রকৃতি নষ্ট হয়।

ক্রিকেটে নৈতিকতা কিভাবে বজায় থাকে?

ক্রিকেটে নৈতিকতা বজায় রাখতে খেলোয়াড়দের সতর্কতা এবং দায়িত্ববোধ গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়রা বাস্তব সময়ে নিয়ম মানার মাধ্যমে এবং পুরো খেলায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা দেখিয়ে নৈতিকতার রক্ষা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান এবং খেলায় সংঘর্ষ এড়িয়ে চলা নৈতিক আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ক্রিকেট নৈতিকতার দৃষ্টান্ত কোথায় পাওয়া যায়?

ক্রিকেট নৈতিকতার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এবং অলিম্পিক গেমসে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ম্যাচে খেলোয়াড়রা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। এ ধরনের দৃষ্টান্ত নৈতিক মূল্যবোধকে তুলে ধরে যে খেলার মূল চেতনাকে মান্য করতে হবে।

ক্রিকেটে নৈতিকতার গুরুত্ব কখন বেড়ে যায়?

ক্রিকেটে নৈতিকতার গুরুত্ব মাঠের বাইরে বা ম্যাচগুলোর সমালোচনার সময় বাড়ে। যখন খেলোয়াড়রা ফেয়ার প্লে বরাবর নজর রাখে এবং দর্শকদের মধ্যে ঐক্যের আবেদন তীব্র হয়, তখন নৈতিকতা সমৃদ্ধ হয়। বিশেষ করে, ম্যাচ ফিক্সিং বা খেলোয়াড়দের আচরণগত সমস্যার সময় নৈতিকতা সম্পর্কে আলোচনা তীব্র হয়।

ক্রিকেট খেলার নৈতিকতার জন্য কে দায়ী?

ক্রিকেট খেলার নৈতিকতার জন্য মূলত খেলোয়াড়রা, ক্রিকেট বোর্ড এবং নীতিনির্ধারকরা দায়ী। খেলোয়াড়দের আচরণ তাঁদের মূল্যবোধের উপর নির্ভর করে, তবে বোর্ড এবং নীতিনির্ধারকরা নৈতিকতার সঠিক ব্যাখ্যা এবং সবাইকে উৎসাহিত করার দায়িত্ব পালন করে। টুর্নামেন্টের নিয়মাবলী এবং শৃঙ্খলার দিকনির্দেশনা তাদের হাতে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *